যাযাবর পাখি

চখা
August 10, 2023

যাযাবর পাখি

-আলী ইমাম

শীতকালে আমাদের দেশে অনেক অতিথি পাখি আসে। হাওর, বিল নদী নালায় প্রতি বছর শীতের সময় উত্তর অঞ্চল অর্থাৎ সূদুর সাইবেরিয়া থেকে এই ধরণের যাযাবর পাখির ঝাঁক আসে। বিভিন্ন দেশ থেকে ওরা দল বেঁধে উড়ে আসে। এদের মধ্যে আছে অনেক প্রজাতির পাখি। বেশির ভাগ হাঁস জাতীয়। অনেকে আসে হিমালয়ের অরণ্য থেকে। তিব্বতের লাদাখ এলাকা হলো রাজহাঁসদের জন্মভূমি। সেখান থেকে আসে ওরা। তিব্বতের হ্রদগুলোতে ঘাসের চাপড়ার উপর বাসা বানায় রাজহাঁসেরা। শীতের শেষে আবার তারা স্বদেশে ফিরে যায়। এইসব যাযাবর পাখিদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে আমাদের দেশের সৌখিন শিকারীরা। বিভিন্ন চর এলাকায় গিয়ে তারা নির্বিচারে এই হত্যালীলা চালায়। অথচ বন্য প্রাণী শিকার না করার জন্যে দেশে আইন রয়েছে। শিকারীরা জাল দিয়ে ধরে যাযাবর পাখি। এসব বুনোহাঁস বিক্রি হয় শহরে। ঢাকার বায়তুল মুকাররম এলাকার প্রায়ই এ ধরণের পাখি বিক্রেতাদের দেখা যায়। দড়ি বেধে অসহায় বুনো হাঁস বিক্রি করছে। নগরীর ভোজন রসিক লোকেরা এইসব পাখি তৃপ্ত মনে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যাযাবর পাখিদের তেলতেলে মাংশের প্রতি তাঁদের দারুণ লোভ। এভাবে পাখি শিকার একটি অন্যায় কাজ। এতে শীতের পাখিরা বিরল হয়ে আসছে। কলকারখানার শব্দে আতংকিত হয়ে তারা তাদের গতি পথ পরিবর্তন করছে। হিমালয়ের পাহাড়ি অরণ্য থেকে প্রায় পঁচিশ ধরনের বিদেশি শীতের পাখি আমাদের দেশে আসে। তার মধ্যে রয়েছে ভুবন চিল। ঢাকা শহরের মীরপুর চিড়িয়াখানার লেকটি ভরে যায় অতিথি পাখিতে। শহরের পার্ক গুলোতে এ সময় দেখ যায় বাদামি কসাই পাখি, লালচে মাছ খেকো, শাদা এবং ধূসর খঞ্জন, ছাই রঙা ফিঙে, আবাবিল, পিপিট, কাঁদাখোচা। হিমালয়ের প্রায় পনের হাজার ফুট উচু এলাকার শীতের তীব্রতা কাটাতে এসব পাখি আমাদের দেশে আসে। গ্রীনল্যান্ড, সাইবেরিয়া থেকে আসে বিভিন্ন জাতের হাঁস, জিরিয়া এবং প্লোভার।

নতুন পাখি

১৯৮৩ সালের শীতকালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দেখা গিয়ে ছিল গুজ এন্ডার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ রেজা খান জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরের শেষ দিনে এন্ডারের চারটি পাখির একটি দলকে তাঁরা তেতুলিয়ার পাশে মহানন্দা নদীর উপর উড়ে যেতে দেখেছেন।

শিকারীদের গুলি অথবা জালে পড়ে সবচাইতে বেশি পাখি মারা গেছে সিলেট ও ময়মনসিংহের হাওরে। চাঁদপুরে ও নোয়াখালির বনে। পদ্মা, মেঘনার চর এবং নাফ নদী সহ উপকূলীয় এলাকার নদীর চরায় । শীতের ধু-ধু, বালুচরে ঝাঁক বেঁধে নেমে আসে অতিথি পাখিরা। সে এক অপূর্ব দৃশ্য।

বিভিন্ন ধরণের পাখি

শীতের এ ধরণের যাযাবর পাখিরা অনেক সময় একশ পঁচিশ প্রজাতির হয়ে থাকে। পদ্মা, যমুনা ও মেঘনার চর ও হাওর এলাকায় প্রায় পনের প্রজাতির হাঁস আসে। এর মধ্যে আছে লেঞ্জা, ভূতিহাঁস, পাতারী হাঁস, চখাচখি, আরো থাকে লাখ লাখ বাটান, চাপাখি, চ্যাগা, গাংচিল ও জল কবুতর। সবচাইতে ছোট পাখি হলে ফ্লাইক্যাচার। দৈর্ঘ্য সাড়ে চার ইঞ্চি। ইংরেজী ‘ডি’ অক্ষরের মতো দল বেঁধে উড়ে আসে লেঞ্জা হাঁস।

কেন আসে পাখিরা ?

সেপ্টেম্বরের দিকে হিমালয় বা উত্তর মেরুতে দিনের তাপমাত্রা অনেক হ্রাস পায়। দিনের দৈর্ঘ্য যায় কমে। বরফে ঢেকে যায় সব খাবার। প্রধানতঃ এই কারণে পাখিরা দেশান্তরী হয়। খাবারের সন্ধানে উত্তরাঞ্চল ছেড়ে দক্ষিণের দিকে পাড়ি জমায়। তাদের কিছু অংশ আসে আমাদের দেশে। কিছু কিছু পাখি বাংলাদেশসহ সারা দক্ষিণ ভারত ও শ্রীলংকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশের উপর দিয়ে পাড়ি জমায় অনেক পাখি। ওরা এসে আশ্রয় নেয় এদেশের ঝোপ ঝাড়ে, নদীর ধারে, বিল- বাওরের কাছে। এসব স্থানে ওরা খাবার খোঁজে। প্রচুর খাবার পেয়ে যায় তারা। খেতে খেতে একসময় পর্যাপ্ত চর্বি জমে যায় ওদের দেহে।

কিছু যাযাবর পাখি সারা শীতকাল এদেশে থাকে। কিছু পাখিকে শীতের শহর ও শেষের দিকে এবং কিছু পাখিকে শীতের প্রথম বা শেষের দিকে মাত্র একবার দেখা যায়।

বাংলাদেশে দেশান্তরী পাখিরা বেশি আসে হিমালয়ের পর্বতমালা ও তার আশেপাশের অঞ্চল থেকে। উত্তর দক্ষিণে যাওয়া ছাড়াও পাখিরা পাহাড়ের বরফঘেরা উচু জায়গা থেকে নিম্নাঞ্চল বা সমভূমি এলাকাতে নেমে আসে। আর দক্ষিণ গোলার্ধের পাখিরাও অপেক্ষাকৃত উষ্ণতর দেশে চলে আসে উত্তরের দিকে। কিছু পাখি উত্তর-দক্ষিণ, দক্ষিণ- উত্তর বা উচু-নিচু স্থান পরিবর্তন না করে পূর্ব-পশ্চিমে আসা যাওয়া করে। পূর্ব-পশ্চিমে প্রব্রজনকারী পাখিরা এদেশে আসে না। তবে থাইল্যান্ডের আংটা পরানো কিছ, ওপেন বিল স্টক বাংলাদেশে ধরা পড়েছিলো একবার।

অবশ্য এ প্রজাতিটিকে আসল প্রব্রজনকারী পাখি বলে ধরা হয় না। তবে এই ওপেনবিল স্টর্ক’কে পূর্বে-পশ্চিমের যাত্রী ধরা হয়।

দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে বাংলাদেশে কোন পাখি আসে না। এদেশে আসা পাখির মধ্যে বড় ধরনের দল হলো হাঁসের। এদের ২০ থেকে ২২টি প্রজাতি আসে এদেশে। ৬টি প্রজাতি এদেশে বারোমাস বাস করে। যাযাবর হাঁসের মধ্যে প্রধান হচ্ছে ধূসর রাজহাঁস, রাজহাঁস, গোলাপী পা রাজহাঁস, চখাচখি, শাচকা, চিতি হাঁস, লেঞ্জা, জিরিয়া হাঁস, বৈকাল হাঁস, নীলশির, পাতারী হাঁস, পিঙ হাঁস, কালো হাঁস, বড়ভূতি হাঁস, বামানিয়া হাঁস, লালশির, পাস্তামাখি, ভূতি হাঁস, রাঙামুড়ি ও শিখাযুক্ত হাঁস ।

অন্যান্য যাযাবর পাখিদের মধ্যে যাদেরকে সাধারণ মানুষ শীতের পাখি হিসেবে চিনতে পারে না তাদের সংখ্যা ১৫০ প্রজাতি। তাদের আসা যাওয়াটা যেন নীরবেই শেষ হয়। এই চুপিসারে আসা পাখিরাই শস্যক্ষেতের এবং বন-বাদাড়ের পোকা মাকড়, কীট পতঙ্গ, সাপ-ইঁদুর, কাঠবেড়ালী, শশক প্রভৃতি খেয়ে ব্যাপক ফসল রক্ষা করে। শিকারী বাজ ও পেঁচার মত বেশ কটি প্রজাতি এসময় আমাদের দেশে আসে। এরা হলো ছোট বাজ বা কাস্ট্রেল, হেরিয়ার বা রাখাল ভুলানী, জলার চিল প্রভৃতি। অন্যান্য শিকারী পাখিদের মধ্যে আসে বড় ঈগল, খয়েরি ঈগল, কালো ঈগল, চিত্রা ঈগল, বাজারড, ঘোষহক, প্যারো হক, ভুবন চিল, অসপ্রে বা মেছো ঈগল। এরা হলো সবাই দিবাচর। শট ইয়ার্ড’ আউল এবং বাদামি কাঠপেটা হচ্ছে রাতের শিকারী প্রব্রজনকারীর দলে।

প্রব্রজনকারী অন্যান্য পাখিদের মধ্যে আছে গগনবেড়, বড় বক, বিটান, শাদা মানিকজোড়, কানঠোঁটি, জলকবুতর, গাংচিল, বড় গুলিন্দা, ছোট গুলিন্দা, মঙ্গোলীয় জিরিয়া, জিরিয়া, কাদাখোঁচা, চ্যাগা, শাদা লেজি টিট্টিভ, হট-টি-টি, বাটান, বালু বাটান, জৌরালী, লাল পা ও সবুজ পা পিউ, চাপাখি, গ্রীন পিজিয়ন প্রভৃতি।

গায়ক পাখিদের দলে আছে অনেকেই। আর আমাদের দেশে আসা যাযাবর পাখিদের মধ্যে গায়ক পাখির সংখ্যাই বেশি। ভরত, সাধারণ ও ডোরাকাটা আবাবিল, তিব্বতীয় এবং বাদামি কসাই পাখি, ঘাড়-কালো হলদে পাখি, ধূসর ফিঙে, বিলেতি শালিক, মাসিক্যাপিনী, সিলভি আইনি, চারডিনী, ফ্লাইক্যাচার, লালবক চটক, বাদামি, শাদাভূর কালচে নীলবক এবং আকাশী চটক বশে ওয়ার্ক’লার, হীল ওয়ার্কলার,  গ্লাসহপার, ব্রীড প্যাডিফিল্ড লীফ ফ্লাইক্যাচার, ওয়ার্বলার প্রভৃতি গায়ক পাখিদের অন্তর্ভুক্তি। আকারে ছোট এসব পাখির গায়ের রঙ তেমন সুন্দর নয়। ঝোপঝাড়ে ও বন-জংগলে বাস করার ফলে এরা কারো নজর কাড়ে না। তাই এদের সম্পর্কে আমরাও অজ্ঞ সবচেয়ে বেশি। খেয়াল করি সবচেয়ে কম।

আমাদের দেশে খালবিল অজস্র। আর অবারিত মাঠ। যাযাবর পাখিদের থাকা এবং খাবার জন্যে বেশ সুবিধাজনক স্থান। চরাঞ্চলে উড়ি ঘাস খায় রাজহাঁসেরা। বিলে হাওরে যে সমস্ত হাঁস আসে তারা প্রায় সবাই নিরামিষভোজী। মাঝে মধ্যে মাছ, গুগলি, শামুক, জলজ পোকামাকড় এরা খায়। তবে জলজ উদ্ভিদ মূল, ফুল-ফল এবং ঘাসের কচি ডগা এদের প্রধান খাদ্য।

কক্সবাজার সৈকতে দেখা মেলে মঙ্গোলীয় জিরিয়া বা ছোট জিরিয়াদের। এরা পোকামাকড় এবং কেঁচো খুঁজতে ব্যস্ত থাকে সৈকত এলাকায়। শত শত কাদাখোঁচাকে কাদার ওপর হেটে বেড়ানো কীট-পতঙ্গ, পোকামাকড়, কেঁচো প্রভৃতি খুঁজে বের করে মহানন্দে খেতে দেখা যায়। নদীর চরা, মোহনা, সমগ্র তীর এবং সুন্দরবনের নদীর পাড়ে এদের ছুটোছুটি।

রাখালতুলানী বাজ বা হেরিয়ার ইঁদুর, ঘাসফড়িং বা উরচুঙ্গা জাতীয় পোকা খায়। এরা ফসলের ক্ষেতের সামান্য ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে ইঁদুরের চোখে ফাঁকি দিয়ে অনেক উপরে উঠে স্থির হয়ে ডানা ঝাপটায়। তারপর মাটি সরানোতে ব্যস্ত ইঁদুরকে ছোঁ মেরে তুলে আনে তাদের শক্ত থাবা দিয়ে। এভাবে তারা গিরিগিটি, পোকা-মাকড় এবং ছোট খাটো সাপও ধরে খায়।

চিত্র চিল, মাস হেরীয়ার, পেরীগ্রীন ফ্যালকন ও কিছু ঈগল জলাশয়ের ধারে ধারে ঘুরে বেরিয়ে নানা রকমের ছোট পাখি ধরে খায়। আখ, গম, ভুট্টা, ডালের ক্ষেত্রের গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঘরে পোকা-মাকড় ধরে খায়, লাল ও নীল গলা পাখি এবং রেডসটাট।

বাগানের কীট- পতঙ্গ, ঝোপঝাড়ের পোকা মাকড় ধরে খায় ফ্লাইক্যাচার, ওয়াব’লার, ম্যাস ও ধূসর ফিঙ্গে। কসাই পাখিরা মাঠ এবং ফসলের ক্ষেত থেকে পোকা-মাকড় ধরে খায়। উড়ন্ত কীট-পতঙ্গ উড়ে উড়ে ধরে খায় আবাবিল এবং ডোরা আবাবিল। নিশাচর পেঁচারা বনে এবং দ্বীপাঞ্চলে ইঁদুরে ও কাঠবিড়ালী খায়। আর অসপ্রে খায় শুধু মাছ।

ভুবন চিলেরা আমাদের দেশে এসে বাসা বাঁধে ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয় চত্বর এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আশেপাশে কড়ই, দেবদার,, তেলশুরা ইত্যাদি গাছে বাসা বাঁধে। এদের সংখ্যা প্রায় ১২০০ মতো। শহরের ভুবন চিলের খাদ্য সংগ্রহের জায়গা হলো হাজারী বাগ ট্যানারী এলাকা ও কসাইখানা। ওসব জায়গা থেকে খাদ্য হিসেবে সংগ্রহ করে ছাগলের কান, শিং, মাথার চামড়া এবং খুর। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে এসে এরা ফিরে যায় মার্চের শেষ নাগাদ।

এভাবেই প্রতি বছর যাযাবর পাখিরা আমাদের দেশে আসে। ফিরে যায়। তবে সবচেয়ে দু:খের বিষয় এসব অতিথি পাখিদের অধিকাংশই চতুর শিকারীদের হাতে ধরা পড়ে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতি বছর শিকারীদের হাতে আটকা পড়ে লক্ষ লক্ষ পাখি। তাছাড়াও পাখিদের আগের নিরাপদ জায়গার পরিমাণও কমে আসছে দিন দিন। এসমস্ত কারণে প্রতিবছরই দেশান্তরী অতিথি পাখিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে। অতিথি পাখিরা বাংলাদেশে বর্তমানে আনন্দ আর সন্ত্রাসের ভেতর কাটিয়ে চার-পাঁচ মাস পর চলে যায় দেশের দিকে। যাবার আগে আকাশে অনেকক্ষণ ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে চক্কর দেয় আর করুণ সুরে ডাকে। ওদের স্বজন হারানোর ব্যথায় তখন ভারী হয়ে ওঠে বাতাস ।

দেশান্তরী পাখি শুধু আমাদের সম্পদ নয় এটা সমস্ত বিশ্বের সম্পদ। এমন একটি সম্পদ যার সংরক্ষণে মানুষেই বেশি উপকৃত হবে। এজন্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এদের প্রতি যত্ন নেয়া হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে অভায়রণ্য। ওদের নিরাপদে থাকার মতো জায়গা ।

আমাদের দেশে আইন থাকা সত্ত্বেও অনেকে পাখি শিকার করে। কেউ জেনেই করে সৌখিনতার জন্যে। আর একদল করে না জেনে। বাংলাদেশের শহর, গ্রাম, গঞ্জে, বিল-হাওরে শিকারীদের হাতে ধরা পড়া পাখিগুলো অবাধে বিক্রি হয়। তাই এখন দরকার আমাদের সচেতনতার। পাখিদের প্রতি মমত্ববোধ জাগাতে হবে। তাদের প্রতি হতে হবে সহানভূতিশীল। নইলে ওরা হারিয়ে যাবে। দিন দিন যে হারে কমছে ওদের আগমন সংখ্যা, এমন একদিন আসবে হয়তে৷ যখন ওরা আর আসতে চাইবে না অভয় আশ্রয়ের অভাবে। এই সব দেশান্তরী পাখিদের জন্যে অভয়ারণ্য গড়ে তোল৷ এখনি উচিত ।

আলী ইমাম, লেখক ও শিশু সাহিত্যিক।

(পাখি আর পাখি বই থেকে সংগৃহীত।)

Tags: , , , , , ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Don`t copy text!