চোখ ধাঁধানো অ্যাকশন ও এসপিওনাজ জগতের কিং জেমস বন্ড। ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিস বা এমআই সিক্সের সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ এজেন্ট জেমস বন্ড। যার কোড নেম ডাবল ওহ সেভেন। বন্ডের প্রিয় অস্ত্র ওয়ালথার পিপিকে। যা আমরা পরবর্তীতে আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাল্পনিক থ্রিলার চরিত্র মাসুদ রানাকে ব্যবহার করতে দেখেছি। প্রেম হোক বা অ্যাকশন; জেমস বন্ড অতুলনীয়। শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের টাইয়ের নট ঠিক করতে ভুল হয়না তার। এম হচ্ছেন জেমস বন্ডের বস।
“১৯৫৩ সালে রচিত এ উপন্যাসে জেমস বন্ড রয়েল নেভি কমাণ্ডার হিসেবে রয়েছেন। জেমস বন্ড নিয়ে সিরিজ আকারে নির্মিত অসংখ্য উপন্যাস, চলচ্চিত্র, কমিকস্ এবং ভিডিও গেমের প্রধান চরিত্রে রয়েছেন জেমস বন্ড। লন্ডনের সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা এসআইএসের প্রধান গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাকে। ১৯৯৫ সালের পর থেকে সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা এসআইএসের নাম পরিবর্তিত হয়ে এমআই৬ নামকরণ করা হয়।
০০৭ সাঙ্কেতিক নম্বরটি জেমস বন্ড ধারণ করেছেন। ব্যতিক্রম হিসেবে রয়েছে ইউ অনলি লাইভ টুয়াইস উপন্যাসটি। সেখানে তাকে অস্থায়ীভাবে ৭৭৭৭ নম্বর দেয়া হয়েছে। ডাবল-ও বা ডাবল-জিরো শব্দটির মাধ্যমে জেমস বন্ডকে তার কর্তব্য-কর্মে যে-কাউকে হত্যা করার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বন্ড নিজেকে অন্য কারো সাথে পরিচয় করেন, “বন্ড, জেমস বন্ড” হিসেবে। মার্টিনি ককটেল হিসেবে ভদকাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। তার সহজাত ও স্বাভাবিক পোশাক হচ্ছে একটি ডিনার জ্যাকেট । সচরাচর তিনি রোলেক্স সাবমেরিনার হাতঘড়ি পড়তেই পছন্দ করেন। পরবর্তীতে তাকে ওমেগা সীমাস্টার ঘড়ি পড়তে দেখা যায়।”
জেমস বন্ড সিরিজের জনক ইয়ান ল্যাংকাস্টার ফ্লেমিং ছিলেন একজন ব্রিটিশ লেখক। ১৯০৮ সালে ব্রিটেনের এক বনেদী পরিবারের তার জন্ম। রবার্ট ফ্লেমিং অ্যান্ড কোম্পানী বানিজ্যিক ব্যাংকটি ছিল তাদের নিজস্ব ব্যাংক। তাঁর বাবা ছিলেন একজন সংসদ সদস্য। লেখাপড়া শেষ করে ইয়ান ফ্লেমিং বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে পড়েন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি ব্রিটেনের ন্যাভাল ইন্টেলিজেন্স সাথে যুক্ত হন। অপারেশন গোল্ডেন আই পরিকল্পনায় তাঁর বিশেষ অবদান ছিল। এছাড়া ৩০ অ্যাসল্ট ইউনিট ও টি- ফোর্স এর মত গোয়েন্দা বাহিনী দাঁড় করাতেও তার অবদান অনস্বীকার্য। সেই সাথে যুদ্ধের সাংবাদিক হিসাবেও তিনি অনেক কাজ করেছিলেন। এই সব অভিজ্ঞতায় তাকে জেমস বন্ড লেখার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে।

ইয়ান ফ্লেমিং তার প্রথম বন্ড উপন্যাসটি লেখেন ১৯৫২ সালে; সেটি হচ্ছে ক্যাসিনো রয়াল । বইটি বের হওয়ার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনবার পূনর্মূদ্রন করতে হয়। এরপর শুরু হয় জেমস বন্ড সিরিজের পথচলা। যা এখনও সমান জনপ্রিয় এবং বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত উপার্জন করেছে। ১৯৬৬ পর্যন্ত ১১টি উপন্যাস ও দুইটি ছোট গল্পের সংকলন বের হয়। বন্ড সিরিজটি সারা বিশ্বে ১০০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। ২০০৮ সালে টাইম ম্যাগাজিন ইয়ান ফ্লেমিংকে বিশ্বের সেরা ৫০ জন এর মধ্যে ফিকশন লেখক হিসেবে ১৪তম স্থান দেয়। ফ্লেমিং প্রচুর ধুমপান ও মদ্যপান করতেন। ১৯৬৪ সালে ৫৬ বছর বয়সেই তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। তার পর থেকে অন্যান্য লেখক তাঁর ছায়া অবলম্বনে আজ পর্যন্ত জেমস বন্ড লিখে যাচ্ছেন। তাঁরা হচ্ছেন:
Kingsley Amis, Christopher Wood, John Gardner, Raymond Benson, Sebastian Faulks, Jeffery Deaver, William Boyd, and Anthony Horowitz.
জেমস বন্ডের সাথে আমাদের দেশের মানুষের সাথে পরিচিতি সম্ভবত তার মুভির মাধ্যমে। এ’ পর্যন্ত ২৮টি মুভি জেমস বন্ডের মুক্তি পেয়েছে। প্রত্যেকটি বক্স অফিস হিট।
ইয়ান ফ্লেমিং এর লেখা জেমস বন্ড এর তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
· 1953 Casino Royale
· 1954 Live and Let Die · 1955 Moonraker · 1956 Diamonds Are Forever · 1957 From Russia, with Love · 1958 Dr. No · 1959 Goldfinger |
· 1960 For Your Eyes Only (short stories)
· 1961 Thunderball · 1962 The Spy Who Loved Me · 1963 On Her Majesty’s Secret Service · 1964 You Only Live Twice · 1965 The Man with the Golden Gun · 1966 Octopussy and The Living Daylights (short stories; “The Property of a Lady” added to subsequent editions) |
অন্যান্য লেখকের জেমস বন্ড:
· 1981 Licence Renewed
· 1982 For Special Services · 1983 Icebreaker · 1984 Role of Honour · 1986 Nobody Lives for Ever · 1987 No Deals, Mr. Bond · 1988 Scorpius · 1989 Win, Lose or Die |
· 1989 Licence to Kill (novelisation)
· 1990 Brokenclaw · 1991 The Man from Barbarossa · 1992 Death is Forever · 1993 Never Send Flowers · 1994 SeaFire · 1995 GoldenEye (novelisation) · 1996 Cold |
· 1997 “Blast From the Past”[56] (short story)
· 1997 Zero Minus Ten[57] · 1997 Tomorrow Never Dies[36] (novelisation) · 1998 The Facts of Death[58] · 1999 “Midsummer Night’s Doom”[59] (short story) · 1999 “Live at Five”[60] (short story) |
· 1999 The World Is Not Enough[36] (novelisation)
· 1999 High Time to Kill[61] · 2000 DoubleShot[62] · 2001 Never Dream of Dying[63] · 2002 The Man with the Red Tattoo[64] · 2002 Die Another Day[36] (novelisation) |
১৯৬২ সালে ইয়ন প্রোডাকশনের ব্যানারে প্রথম জেমস বন্ডের মুভিটি মুক্তি পায়। বন্ড চরিত্রে ছিলেন শন কনারী।
বিভিন্ন অভিনেতা বিভিন্ন সময়ে বন্ড সিরিজটির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তারা হচ্ছেন:
Title | Year | Actor | Director |
Dr. No | 1962 | Sean Connery | Terence Young |
From Russia with Love | 1963 | ||
Goldfinger | 1964 | Guy Hamilton | |
Thunderball | 1965 | Terence Young | |
You Only Live Twice | 1967 | Lewis Gilbert | |
On Her Majesty’s Secret Service | 1969 | George Lazenby | Peter R. Hunt |
Diamonds Are Forever | 1971 | Sean Connery | Guy Hamilton |
Live and Let Die | 1973 | Roger Moore | |
The Man with the Golden Gun | 1974 | ||
The Spy Who Loved Me | 1977 | Lewis Gilbert | |
Moonraker | 1979 | ||
For Your Eyes Only | 1981 | John Glen | |
Octopussy | 1983 | ||
A View to a Kill | 1985 | ||
The Living Daylights | 1987 | Timothy Dalton | |
Licence to Kill | 1989 | ||
GoldenEye | 1995 | Pierce Brosnan | Martin Campbell |
Tomorrow Never Dies | 1997 | Roger Spottiswoode | |
The World Is Not Enough | 1999 | Michael Apted | |
Die Another Day | 2002 | Lee Tamahori | |
Casino Royale | 2006 | Daniel Craig | Martin Campbell |
Quantum of Solace | 2008 | Marc Forster | |
Skyfall | 2012 | Sam Mendes | |
Spectre | 2015 | ||
No Time to Die | 2021 | Cary Joji Fukunaga |
পরবর্তী মুভিতে কে জেমস বন্ড হবেন তা এখনও জল্পনা কল্পনা চলছে। তবে সুপার ম্যান ও উইচার সিরিজের হেনরী কেভিল হওয়ার সম্ভবনায় বেশি।
সূত্র: উইকিপিডিয়া।
Tags: ইয়ান ফ্লেমিং, ওয়ালথার, জেমস বন্ড, মাসুদ রানা, মুহাম্মদুল্লাহ চৌধুরী