স্বাস্থ্য:
- খাবারের রুটিন তৈরী করুন। সেই মত খান। সপ্তাহে একদিন চিট করতে পারেন।
- তেলে ভাজা খাবার পরিহার করুন।
- সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যায়াম করুন।
- দুধ জাতীয় খাবার কম খান। বিশেষ করে যাদের দুধ হজম হয় না।
- ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়, এনার্জি ড্রিঙ্ক, চিনি পরিহার করুন।
- দিনে ৮ ঘন্টা ঘুমান।
- অন্য ব্যায়ামের পাশাপাশি কিছুটা হলেও ওয়েট লিফটিং করুন।
- ভিটামিন ডি ও সি নিয়মিত গ্রহন করুন।
- যথেষ্ঠ পানি পান করুন।
- বছরে রুটিন করে ডাক্তার দেখান।
সামাজিকতা:
- নিজেকে ভালবাসুন। নিজের গুরুত্ব উপলব্ধি করলেই অন্যের মূল্য বুঝতে পারবেন।
- মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাবেন না বা প্রশ্ন করবেন না। তাহলে আপনিও তাদের প্রশ্ন থেকে নিরাপদ থাকবেন।
- পরিবারের সাথে সময় কাটান। সবার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করুন এবং সমাধানের পথ খুঁজে নিন।
- নিয়মিত আপনার বাচ্চার সাথে খেলুন।
- দিনে অন্তত: একবার আপনার পরিবারের সদস্য বা বন্ধুর সাথে কথা বলুন। এতে সম্পর্কের গভীরতা বাড়বে।
- যৌক্তিক তর্ক করুন। অকারণে ঝগড়া করবেন না।
- ”সরি” বলতে পিছুপা হবেন না।
- কাউকে কারো দোষ সম্পর্কে বলতে তাকে গোপনে বলুন, প্রকাশ্যে নয়।
- কারো সম্পর্কে যখন মনে মনে ভাববেন, তখন তার গুন গুলো নিয়ে ভাবুন।
- পরিবারকে কাজের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন।
- আপনার প্রিয়জনকে মাঝে মাঝে উপহার দিন।
অর্থনৈতিক:
- আপনার টাকার ব্যালান্স নিয়মিত চেক করুন এতে আপনার অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা থাকবে।
- পুরনো কথা তারপরও বলি, আয়ের চেয়ে ব্যয় কম করবেন।
- ইমার্জেন্সির জন্য সবসময় কিছু টাকা জমিয়ে রাখুন।
- বছর শেষে বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব করুন। এর ফলে আপনার অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য কি করা উচিত তার একটা পরিষ্কার ধারণা তৈরী হবে।
- ধার করবেন না, যদি একান্তই করেন- সময়মত শোধ করুন।
- কোন কাজই ছোট নয়, যত ভাবে সম্ভব, সৎ উপায়ে আয় করার চেষ্টা করুন। টাকাই সব নয়, তবে টাকা ছাড়া দুনিয়া অচল এটাও ঠিক। টাকা উপার্জন করুন কিন্তু উপরের সামাজিকতা গুলো অবশ্যই পালন করবেন।
- কিভাবে খরচ কমানো যায় ভাবুন। আমরা অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় খরচ বেশি করি।
- অবসরের জন্য টাকা জমিয়ে রাখুন।
ক্যারিয়ার:
- যা করতে ভাল লাগে, যা হতে চান তার একটি লক্ষ্য তৈরী করুন। লক্ষ্য পৌছতে যা যা করা প্রয়োজন, তা না পাওয়া পর্যন্ত- সঠিক নিয়মে লেগে থাকুন।
- কোন চাকুরী পছন্দ না হলে সেটা করবেন না।
- বাড়ীতে বসেও অনেক ইনকাম করা যায়। সে’রকম কোন উপায় বের করুন। তাহলে পরিবারের সাথেও সময় দিতে পারবেন।
- যা করতে চান, তা কোন প্রফেশনাল লোকের কাছে শিখে নিন। যার কাছে শিখছেন, তিনি এ’ বিষয়ে কতটা উন্নতি করেছেন জেনেই তারপর কোর্স করবেন।
- আপনার ক্যারিয়ার রিলেটেড যতপ্রকার ট্রেনিং নেওয়া সম্ভব, নিন। নিজের লাইনে বস হয়ে যান।
- পোশাক পরিচ্ছদের ব্যাপারে পরিপাটি হোন।
আত্মীক উন্নয়ন:
- নিয়মিত নামায পড়ুন।
- যা হতে চান তার নিয়মিত মনছবি দেখুন।
- সব কিছুতে পারফেক্ট হতে যাবেননা। এতে আপনার মনের শান্তি নষ্ট হবে।
- ”না” বলতে দ্বিধা করবেন না।
- মানুষ মাত্রই ভুল হয়। ক্ষমা করতে শিখুন।
- সব কিছুর পজিটিভ দিকটা দেখার চেষ্টা করুন।
- টিভি/ফেসবুক ব্যবহার করা কমিয়ে দিন।
- নিয়মিত মেডিটেশন করুন।
- সংবাদপত্রের নেগেটিভ খবর গুলো আমরা বেশি পড়ি। যদিও তাতে কোন লাভ হয়না। অভ্যাসটি ধীরে ধীরে পরিবর্তন করুন।
- মাসে অন্তত: একটা ভাল বই শেষ করুন।
- ভোরে ওঠা অভ্যাস করুন। সারাদিনে কি করবেন, সকালেই একটি রুটিন করে নিন।
- যতটা সম্ভব হাসতে চেষ্টা করুন। হাসি আমাদের অনেক রোগ দুরে রাখে।
অবসর সময়
- নিয়মিত ভাল বই পড়ুন। অনলাইনে অকারণ স্ক্রলের চেয়ে বই পড়লে আপনার জ্ঞান বাড়বে। ফেসবুকীয় জ্ঞান বেশির ভাগ অপ্রয়োজনীয়। কারণ এখানে একজন অযোগ্য লোকও যেকোন কথা লিখে দিতে পারে।
- ভাল সিনেমা, নাটক দেখুন, গান শুনুন। হরর ফিল্ম না দেখায় ভাল। যা দেখলে মানসিক চাপ বাড়ায়; তা না দেখায় শ্রেয়।
- যারা গাছ ভালবাসেন তারা বাগান করতে পারেন।
- পরিবারের সদস্যদের সাথে বিভিন্ন খেলা খেলুন। সম্ভব হলে আউটডোর গেমস। এতে সবার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
- যারা রান্না ভাল জানেন, তারা মাঝে মাঝে বউকে রান্নায় সাহায্য করুন। বউয়ের মন ভাল করতে এটি একটি চমৎকার উপায়।
- বিভিন্ন পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটান। রাস্তার কোন প্রাণীকে খেতে দিন। পাখিদের পানি, মুড়ি ইত্যাদি খাওয়ান। দেখবেন মনটা ভাল হয়ে যাবে।
আজ এ’পর্যন্তই। এরকম টিপস পেতে নিয়মিত আমাদের ব্লগ ভিজিট করুন।
Tags: টিপস