-ইরম্মদ চৌধুরী
আজ সকালে ফেসবুকে কে যেন শেয়ার দিয়েছে একটি ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন প্রবীণ টুপি পরে খুব মনোযোগ সহকারে বেশ উগ্র পোশাক পরা এক যুবতীর ভিডিও দেখছেন। তিনি হয়তো খেয়াল করেন নি, কোন দুষ্ট জ্বিন (অথবা মানুষ) তার এই সুন্দর সময়টুকুকে ভিডিও করছে। এটা নিয়ে অনেকেই বেশ মজার কমেন্ট লিখেছে। প্রায় শুনি একজন বৃদ্ধ লোক কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে করেছে! সাধারনত: আমাদের সমাজ ব্যাপারটিকে খুব ভাল চোখে দেখিনা। কিন্তু একে ইগনোর করবার উপায় নেই। আমি মাঝে মাঝেই ভাবি, আমি হলে এই বয়সে কি করতাম? আমি কি চুপ করে ভিডিও দেখবো নাকি আরও অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করবো? না বুড়ো বয়সে বিয়ের খায়েশ আমার নাই। তবে সেক্স করতে কি ইচ্ছে করবেনা?
মাফ করবেন, এখানে সব কিছুই খোলা মেলা লিখছি কারন এই ব্লগ নাকি শুধুই পুরুষদের ইচ্ছা, শখ ইত্যাদি নিয়েই। সম বয়সী দম্পতির ক্ষেত্রে যেটা প্রায় দেখি সেটা হচ্ছে তারা একসাথে বুড়ো হন। মেয়েদের দেখা যায় ৪৫ এ মেনোপজ হয়ে যায়, কারো কারো ক্ষেত্রে ৫০ অবশ্য। মেনোপজ বা মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে সেক্সও কমতে শুরু করে। কিন্তু ছেলেদের তো মেনোপজ হয় না। তার কি ব্যবস্থা করবেন আপনি? সে তখন ছোঁক ছোঁক করতে থাকে। মেজাজ গরম হয়ে থাকে শারিরীক মিলনের অভাবে। অন্যদিকে মেনোপজের কারনে মেয়েদের বিভিন্ন শারিরীক ও মানসিক সমস্যা শুরু হয়। এদিকে সংসারের চাপ অন্য দিকে এসব সমস্যা। বউয়ের মাথাও সবসময় সপ্তমে চড়ে থাকে। দেখবেন এই বয়সের দম্পতিগুলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের মাঝে ঝগড়ার সংখ্যাও বাড়তে থাকে। পরিস্থিতিতি এমন দাঁড়ায়, যেন একে অন্যের শত্রূ।
তাহলে কি ভাবছেন, নিজের থেকে বছর দশেক ছোট মেয়েকে বিয়ে করবেন অথবা করা উচিত ছিল? তা করতে পারেন। মেয়েরা ছেলেদের থেকে অনেক বিষয়ে বেশি পরিণত হয়। তবে মুশকিল হল, আপনি তাড়াতাড়ি বুড়ো হলে বউয়ের শারিরীক চাহিদা পূরণ করতে পারবেন তো? আপনার বয়স পঞ্চাশ, বউয়ের পঁচিশ। ব্যাপারটা একটু রিস্কি। এ’বয়সটা সামলানো কঠিন বিশেষ করে ফেসবুক আর মোবাইলের জমানায়। আপনার হয়তো সপ্তাহে দুই বার হলেই চলবে, কিন্তু তিনি তো তাতে খুশী হবেননা।
বেশির ভাগ মহিলারা এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সৎ। তারপরেও মনের অতৃপ্ত চাহিদাটাকে কন্ট্রোল করা কঠিন হবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে অমিতাভ বচ্চন আর টাবু’র “চিনি কম” অথবা সাম্প্রতিক কালের “দে দে প্যায়ার দে” মুভির ফর্মূলা তে বিয়ে না করায় ভাল। আমার মনেহয়, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য হওয়া উচিত আট থেকে দশ বছরের। তাহলে দু’দিকই রক্ষা হয়। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, দাম্পত্য জীবনের সবচেয়ে প্রধান বিষয় হচ্ছে সেক্স- তারপর অন্য কিছু। আর প্রেম ভালবাসা তো সেক্সের ভদ্র বহি:প্রকাশ।
যতই বলুন কেন, আমি তোমার শরীরকে নয়, মনকে ভালবাসি। আপনার অবচেতন মন আসলে ওর শরীরকে চায়। এটা প্রকৃতি প্রদত্ত, মানুষের অস্তিত্ব বিলীন যাতে না হয় তাই প্রকৃতিই শরীরের ভেতর এসব প্রেম ভালবাসা নামক স্বর্গীয় তাড়না গুলো সৃষ্টি করেছে। তাই বয়স হয়েছে বলে সেক্স করা যাবেনা এমনটি দয়া করে করবেন না। সেক্স আপনার টেনশন কমিয়ে দেয়, দাম্পত্য জীবনের কলহ দুর করে। সুতরাং শারীরিক মিলনে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। পুরুষদের ষাটের পর মিলনের ইচ্ছে থেকেই যায় তবে অনেকের শরীর সাড়া দেয় না। তবে পুরুষদের চোখের খিদের কোন বয়স নেই। সুযোগ পেলেই দেখবেন আপনিও এই বয়সে কারো নিতম্ব বা বুকের দিকে আড় চোখে তাকাবেন। কিন্তু ঐ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকুন। ভদ্রতা বলে একটা কথা আছে। সেটা বজায় রাখতে ভুলবেন না যেন।
-ইরম্মদ চৌধুরী
আজ সকালে ফেসবুকে কে যেন শেয়ার দিয়েছে একটি ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন প্রবীণ টুপি পরে খুব মনোযোগ সহকারে বেশ উগ্র পোশাক পরা এক যুবতীর ভিডিও দেখছেন। তিনি হয়তো খেয়াল করেন নি, কোন দুষ্ট জ্বিন (অথবা মানুষ) তার এই সুন্দর সময়টুকুকে ভিডিও করছে। এটা নিয়ে অনেকেই বেশ মজার কমেন্ট লিখেছে। প্রায় শুনি একজন বৃদ্ধ লোক কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে করেছে! সাধারনত: আমাদের সমাজ ব্যাপারটিকে খুব ভাল চোখে দেখিনা। কিন্তু একে ইগনোর করবার উপায় নেই। আমি মাঝে মাঝেই ভাবি, আমি হলে এই বয়সে কি করতাম? আমি কি চুপ করে ভিডিও দেখবো নাকি আরও অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করবো? না বুড়ো বয়সে বিয়ের খায়েশ আমার নাই। তবে সেক্স করতে কি ইচ্ছে করবেনা?
মাফ করবেন, এখানে সব কিছুই খোলা মেলা লিখছি কারন এই ব্লগ নাকি শুধুই পুরুষদের ইচ্ছা, শখ ইত্যাদি নিয়েই। সম বয়সী দম্পতির ক্ষেত্রে যেটা প্রায় দেখি সেটা হচ্ছে তারা একসাথে বুড়ো হন। মেয়েদের দেখা যায় ৪৫ এ মেনোপজ হয়ে যায়, কারো কারো ক্ষেত্রে ৫০ অবশ্য। মেনোপজ বা মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে সেক্সও কমতে শুরু করে। কিন্তু ছেলেদের তো মেনোপজ হয় না। তার কি ব্যবস্থা করবেন আপনি? সে তখন ছোঁক ছোঁক করতে থাকে। মেজাজ গরম হয়ে থাকে শারিরীক মিলনের অভাবে। অন্যদিকে মেনোপজের কারনে মেয়েদের বিভিন্ন শারিরীক ও মানসিক সমস্যা শুরু হয়। এদিকে সংসারের চাপ অন্য দিকে এসব সমস্যা। বউয়ের মাথাও সবসময় সপ্তমে চড়ে থাকে। দেখবেন এই বয়সের দম্পতিগুলো বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের মাঝে ঝগড়ার সংখ্যাও বাড়তে থাকে। পরিস্থিতিতি এমন দাঁড়ায়, যেন একে অন্যের শত্রূ।
তাহলে কি ভাবছেন, নিজের থেকে বছর দশেক ছোট মেয়েকে বিয়ে করবেন অথবা করা উচিত ছিল? তা করতে পারেন। মেয়েরা ছেলেদের থেকে অনেক বিষয়ে বেশি পরিণত হয়। তবে মুশকিল হল, আপনি তাড়াতাড়ি বুড়ো হলে বউয়ের শারিরীক চাহিদা পূরণ করতে পারবেন তো? আপনার বয়স পঞ্চাশ, বউয়ের পঁচিশ। ব্যাপারটা একটু রিস্কি। এ’বয়সটা সামলানো কঠিন বিশেষ করে ফেসবুক আর মোবাইলের জমানায়। আপনার হয়তো সপ্তাহে দুই বার হলেই চলবে, কিন্তু তিনি তো তাতে খুশী হবেননা।
বেশির ভাগ মহিলারা এখন পর্যন্ত অত্যন্ত সৎ। তারপরেও মনের অতৃপ্ত চাহিদাটাকে কন্ট্রোল করা কঠিন হবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে অমিতাভ বচ্চন আর টাবু’র “চিনি কম” অথবা সাম্প্রতিক কালের “দে দে প্যায়ার দে” মুভির ফর্মূলা তে বিয়ে না করায় ভাল। আমার মনেহয়, স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য হওয়া উচিত আট থেকে দশ বছরের। তাহলে দু’দিকই রক্ষা হয়। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, দাম্পত্য জীবনের সবচেয়ে প্রধান বিষয় হচ্ছে সেক্স- তারপর অন্য কিছু। আর প্রেম ভালবাসা তো সেক্সের ভদ্র বহি:প্রকাশ।
যতই বলুন কেন, আমি তোমার শরীরকে নয়, মনকে ভালবাসি। আপনার অবচেতন মন আসলে ওর শরীরকে চায়। এটা প্রকৃতি প্রদত্ত, মানুষের অস্তিত্ব বিলীন যাতে না হয় তাই প্রকৃতিই শরীরের ভেতর এসব প্রেম ভালবাসা নামক স্বর্গীয় তাড়না গুলো সৃষ্টি করেছে। তাই বয়স হয়েছে বলে সেক্স করা যাবেনা এমনটি দয়া করে করবেন না। সেক্স আপনার টেনশন কমিয়ে দেয়, দাম্পত্য জীবনের কলহ দুর করে। সুতরাং শারীরিক মিলনে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। পুরুষদের ষাটের পর মিলনের ইচ্ছে থেকেই যায় তবে অনেকের শরীর সাড়া দেয় না। তবে পুরুষদের চোখের খিদের কোন বয়স নেই। সুযোগ পেলেই দেখবেন আপনিও এই বয়সে কারো নিতম্ব বা বুকের দিকে আড় চোখে তাকাবেন। কিন্তু ঐ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকুন। ভদ্রতা বলে একটা কথা আছে। সেটা বজায় রাখতে ভুলবেন না যেন।
muc
আমি মুহাম্মদ। থাকি গ্রামে, পেশায় শিক্ষক। ভাল লাগে নিজের জানা বিষয়গুলো অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে।